ইন্ডাস্ট্রয়িাল পুলশি-০৩, চট্টগ্রামের ইতিহাস

ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৩, চট্টগ্রাম ৩১/১০/২০১০খ্রিঃ গঠিত হয়। অত্র ইউনিট গঠনের আইন বা এসআরও নম্বর ও তারিখ হল- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং-স্বঃ মঃ (পুঃ-৩)/পদ-৭/২০০৭/ ৫৯৪ ,তারিখ-১০/১১/২০১০ খ্রিঃ।

অস্থিতিশীল ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকার আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রন ও শিল্পাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চাকা সচল রাখার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী সানুগ্রহে ৩১/১০/২০১০ খ্রিঃ সালে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের যাত্রা শুরু করে। ৭৩০ জন জনবল নিয়ে বানিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৩, চট্টগ্রামের নামে একটি ইউনিট এর কার্যক্রম চালু হয়।

প্রতিষ্ঠা থেকে অদ্যাবধি উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীঃ- গত ০৮/১১/২০১৮খ্রিঃ তারিখ অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় নারী শ্রমিক জাহানারা বেগম ফ্যাক্টরীতে প্রবেশের সাথে সাথে গেইটে নিয়োজিত সিকিউরিটিগন তাকে ফ্যাক্টরী অফিসে নিয়ে যায়। অফিসে নেয়ার পর এইচআর কর্মকর্তা শঙ্কর রায় তাকে (নারী শ্রমিক জাহানারা) মারধর করে অফিসের একটি রুমের ভিতরে বসিয়ে আটক করে রাখে। পরবর্তীতে শ্রমিকগন ফ্যাক্টরী এলাকা থেকে বের হয়ে কেইপিজেড কাস্টমস্ গেইট ও কেইপিজেড মেইনগেইট বন্ধ করে দিয়ে প¦ার্শবর্তী এলাকার লোকজন’সহ প্রায় ৭০০০ (সাত) হাজার লোক জমায়ত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৩, চট্টগ্রাম মোট=৪১ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে এবং সিএমপি পুলিশও শর্টগ্যান এবং টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। শ্রমিকদের ইটপাটকেলের আঘাতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৩, চট্টগ্রামের কং/৮১৮ মোঃ হালিম এর চাইনিজ রাইফেল এর বাট ভেঙ্গে দুই খন্ড হয়ে যায় ২। কং/৮৭৬ মোঃ মুনসাদ এর হ্যালার ভেঙ্গে যায় এবং সর্বমোট ০৯ (নয়) জন কনস্টেবল আহত হয়। আহত’দের মধ্যে কং/৬৮৫ মোঃ মমিনুল (চোখে আঘাত) ও কং/৬৮৭ মোঃ রুবেল (পায়ে আঘাত)’কে গুরুতর আহত হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কং/৬৮৫ মোঃ মমিনুল’কে ডান চোখে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত বলে চট্টগ্রাম পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তীতে তার একটি চোখ স্থায়ীভাবে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলে।

ইউনিটের বিশেষ কৃতিত্ব কনস্টেবল/৬৮৫ মোঃ মমিনুল ইসলাম, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৩, চট্টগ্রাম কর্মরত থেকে তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করে চলেছেন। তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের সময় নি¤েœ বর্ণিত অসীম সাহসিকতার পরিচয় রেখেছেনঃ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৩, চট্টগ্রামের আওতাধীন ‘ক্যানপার্ক বাংলাদেশ এ্যাপারেলস্ লিঃ’ (ইউনিট-০৫) প্লট-৩, সেক্টর-০২ কর্ণফুলী ইপিজেড, উত্তর পতেঙ্গা, ইপিজেড থানা চট্টগ্রামের নারী শ্রমিক জাহানারা বেগম (৩০), কার্ড নং-৪৯০৭-কে ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মারধর ও আটকিয়ে রাখার সংবাদ শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তারা উত্তেজিত হয়ে যায়। উল্লিখিত ঘটনায় পুলিশের ০৯ (নয়) জন সদস্য আহত হয়। তন্মধ্যে কনস্টেবল/৬৮৫ মোঃ মনিনুল ইসলাম বর্ণিত ঘটনার প্রতিকূল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করাকালীন সময়ে শ্রমিকদের বেপরোয়া ইটপাটকেল নিক্ষেপের সময় তার মাথায় হেলমেটের গøাসের ফাঁক দিয়ে ইটের খন্ড তাঁর ডান চোখে লেগে গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হন। গত ০৯/১১/২০১৮ খ্রিঃ তারিখ সকাল ১১.৩০ ঘটিকায় চট্টগ্রাম পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালে তাঁর ডান চোখের অপারেশন হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ জানান যে, তাঁর চোখটি সম্পূর্ণরুপে নষ্ট হয়ে গেছে।
ভূষিত পদক : তাঁর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গৃহীত সাহসী পদক্ষেপ. কর্তব্যনিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের কারণে জনমনে পুলিশের ভাবমূর্তিসহ বহিরবিশে^ সমুজ্জ্বল হয়েছে এবং পুলিশ বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা সুদৃঢ় হয়েছে। তাঁর এরুপ প্রশংসনীয় কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)’ পদকে ভূষিত করা হলো।
চাকুরীতে যোগদান : তিনি ২০১৫ সালে কনস্টেবল হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন।